ঢাকা:আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ এক বছর পরে আবারো জাতীয় দলে ব্যাক করেছি এবং এই দীর্ঘ এক বছরের মধ্যে আমি নয় মাস টানা পরিশ্রম করেছি জাতীয় দলে ফেরার জন্য, কোচ সালাউদ্দিন স্যার থেকে শুরু করে সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল এই সময়ের ভিতরে, এবং প্রতিটা সময় আমি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। জানালেন জাতীয় দলের নারী দলেন পেসার জাহানারা আলম।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিসিবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটায় জানান তিনি।
জাহানারা বলেন,শেষ প্রিমিয়ার লিগে দারুন ভাবে নিজেকে প্রমাণ করেছে আমি,বলতে পারেন দীর্ঘ নয় মাসের পরিশ্রমের ফল এবং আমি আবারো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে এটা আমার জন্য গর্বের।
তিনি বলেন, আমি সবসময় ফিটনেস এর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়২০০৭ সাল থেকে যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করছি তখন থেকে আমি চেষ্টা করছি আমার ফিডলেস লেভেলটা যেন ভালোভাবে থাকে এবং আমি যেহেতু একজন ফাস্ট বোলার ২০০৭ সাল থেকে আমি চেষ্টা করেছি আমার বোলিং এর স্পিড যেন একইভাবে থেকে যায় এবং আমার বোলিং এর গতি আগের থেকে আরও বাড়ছে এবং এটা আমাকে হেল্প করেছে শুধুমাত্র ফিটনেস ও স্টেন্স লেভেল,
এবং নিশ্চয়ই আপনারা জানেন আমি জিম থেকে শুরু করে ফিটনেস এর দিক থেকে অনেক বেশি মনোযোগী, এবং আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট ওমেন টিমকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি এবং এই বয়সে এসে এই পেজ ধরে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য।
জাহানারা আরও বলেন,প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন সময় আমি টিমের বাইরে ছিলাম সেখান থেকে আসলে নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় দলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়েছিলাম এবং বলতে পারেন প্রিমিয়ার লিগ থেকে আমি আপকামিং এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে ছিলাম,প্রিমিয়ার লিগ ও এই ক্যাম্প বিশ্বকাপে ও এশিয়া কাপে পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করবে।
নারী দলের এই পেসার বলেন,এশিয়া কাপে আমাদের প্রথম টার্গেট সেমিফাইনাল খেলা খুব ভালোভাবে,আমি মনে করি আমরা যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইন খেলতে পারি সে ক্ষেত্রে আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা পড়তে পারে,পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের খেলা পড়লে আমাদের জন্য ফাইনাল খেলা ইজি হবে সেজন্য আমাদের প্রথম ম্যাচ থেকে মনোযোগী হতে হবে, এবং ২০১৮ সালের মতো আমরা আবারও এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই,
এবং আমার ব্যক্তিগত টার্গেট থাকবে দলের জন্য প্রতিটা ম্যাচে অবদান রাখতে পারি।
তিনি বলেন,এশিয়া কাপের শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আমাদের মুখোমুখি হতে হবে,এবং এই তিন প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি কিংবা যদি আমরা এশিয়া কাপে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসতে পারি তাহলে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে আমাদের জন্য কনফিডেন্স যোগাবে।
যেহেতু বিশ্বকাপ আমাদের ঘরের মাঠে উইকেট কন্ডিশন সব আমাদের পরিচিত। সুতরাং এশিয়া কাপ আমাদের অনেক কিছুই নিশ্চিত করে দেবে।