ঢাকা ২৬ আগস্ট ২০২৪
কাল বন্যা দুর্গত এলাকায় যাচ্ছেন মুফতী ফয়জুল করীম
স্বৈরশাসনের অবসান হলেও একদল সুবিধাভোগী
দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির অপচেষ্টা শুরু করেছে
-পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের জনগণ এক কঠিন সময় পার করছে। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের জুলুম, নির্যাতন, দেশের সম্পদ লুটপাট করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে আমাদের বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশের ছাত্র সমাজ, দেশপ্রেমিক ইসলামপ্রিয় জনতা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। এখনো আহত অনেক ছাত্র-জনতা মেডিকেলের বেডে কাতরাচ্ছে। অপরদিকে দেশের ১১ টি জেলার জনগণ বন্যায় পানিবন্ধি হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। তাদের থাকার জায়গা নেই, তারা খুবই করুণভাবে দিনাতিপাত করছেন। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। ভারত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে, ফারাক্কার বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সাথে তামাশা খেলছে। আমরা ভারত সরকারকে বলছি, বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশি দেশ, প্রতিবেশী দেশের সাথে এমন বেআইনি ও অমানবিক আচরণ বন্ধ করুন। না হয় বাংলাদেশের জনগণ উপযুক্ত সময় এর কঠিন জবাব দেবে।
আজ সোমবার সকালে বরিশালের চাঁদমারি এমসি অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি। জেলা সভাপতি মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃণমূল দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ এবিএম জাকারিয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর সভাপতি প্রফেসর লোকমান হাকিম, জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক কাফরা, নগর সহ-সভাপতি শেখ সামছুল আলম মিলন, জেলা সেক্রেটারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা আবুল খায়ের, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্বশীল, কর্মীদেরকে বন্যাদুর্গত এলাকায় বানবাসী অসহায় মানবতার পাশে দাড়িয়ে সাথ্যানুযায়ী খেদমত করে যাচ্ছে। আমি আহবান করছি, দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে আসুন! যাতে বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় ভাই-বোন ও সন্তানদের প্রয়োজনীয় খাবার, ঔষধ, পোষাক ও মাথা গোজার ব্যবস্থা হয়।
আনসার বিদ্রোহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে এই আনসারদের কোন দাবি-দাওয়া ছিলো না। এখন হঠাৎ করে এত দাবি কোথা থেকে এলো? আনসারদের অন্তরালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই সচিবালয় ঘেরাও করে উপদেষ্টাদের হেনস্তা করেছে, সচিবালয়ের কাঁচ ভাংচুর করেছে, গুলি করেছে। আনসারদের তো রাইফেল নেই, তাহলে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে গুলি কোথা থেকে এলো? এর জবাব নিতে হবে। যে কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কঠোরহস্তে রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, হঠাৎ করে এত দাবি-দাওয়া যারা নিয়ে আসে, বুঝতে হবে এর মধ্যে কোন আওয়ামী চক্রান্ত লুকায়িত আছে।
কর্মসূচি : আগামীকাল মঙ্গলবার ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা বন্যাা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও সহায়তা নিয়ে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই যাচ্ছেন। রোডম্যাপ : প্রথমে তিনি সোনাইমুড়ী কামিল মাদরাসা আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করবেন। এরপর কানকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, সেনবাগ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনীর ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া থানার প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করবেন।