ঢাকা ৩০ আগষ্ট ২০২৪:
উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল চাই – আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, সকল ক্যাডারের সাম্যাবস্থা ইত্যাদি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিসিএস ক্যাডারের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সাধারণ সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ টি ক্যাডার নিয়ে এ পরিষদ গঠন করা হয়।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বিএডিসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। এ সময় কৃষি ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের মো. আরিফ হোসেন, অডিট এন্ড একাউন্টসের ২১ ব্যাচের আসাদুজ্জামান, সমবায় ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের নুরে জান্নাত, পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের আবুল কাসেম, মৎস্য ক্যাডারের ২২ ব্যাচের ফজলুল কবির, বন ক্যাডারের ২২ ব্যাচের মো. রেজাউল কবির, শিক্ষা ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের গাজী মিজানুর রহমান, তথ্য-বেতার ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের মনিরুজ্জামান, পশুসম্পদ ক্যাডারের ২১ ব্যাচের আহসান হাবিব, ডাক ক্যাডারের ২০ ব্যাচের ইকবাল মাসুদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ক্যাডারের ৩০ ব্যাচের নজরুল ভুইঁয়া, গণপূর্ত ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের জামিলুর রহমান, সড়ক ও জনপদ ক্যাডারের ২৯ ব্যাচের রোকনুজ্জাম, পরিসংখ্যান ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের মো. আলমগীর, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৯ ব্যাচের জিনিভা তানজিম, কর ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের মো. আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষা সাধারণ ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের শওকত হোসেন, তথ্য সাধারণ ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তথ্য-বেতার ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের এ এইচ এম জাহিদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় শিক্ষা ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের মো. মফিজুর রহমান আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
সভায় কর্মকর্তারা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করে। চাকরিজীবীদের দায়িত্ব চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করা যাতে নতুন প্রজন্ম চাকরিতে যোগদান করে একটা বৈষম্যহীন সাম্যাবস্থা পেতে পারেন। তারা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা হয়তো চাকরি ক্ষেত্রের এ বৈষম্য সম্পর্কে অবগত নয়। তাই তাদের এ বিষয়টি জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সভায় ক্যাডারে সাম্যতা না থাকায় ২৫ ক্যাডারের পদায়ন, পদোন্নতি ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এ সময় কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়। সভায় জানান হয় যে, জেলা পর্যায়েও সমন্বয়ক নিয়োগ করা হবে।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে, বিধিমালা লঙ্ঘন করে একটা ক্যাডার উপসচিব পদে ৭৫ শতাংশ পদোন্নতি পাচ্ছে আর ২৫টি ক্যাডার পাচ্ছে ২৫ শতাংশের কম। এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এ ধারা উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পর্যায়েও বিরাজমান রয়েছে। সভায় উল্লেখ করা হয় যে, উপসচিব কোন ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত পদ নয়। সুতরাং পরিপত্র জারি করে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ আইনসম্মত হতে পারে না। মেধাবী জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার আহ্বান জানান হয় সভায়।
এছাড়াও সভায় স্ব স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়ে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান হয়।