ঢাকা ৩১ আগষ্ট ২০২৪:
বৈষম্যহীন ক্যাডার সার্ভিস চায় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ
কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়, উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও সকল ক্যাডারের সমতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় আজ। ২৫ টি ক্যাডার নিয়ে এ পরিষদ গঠন করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ রাজধানীর ডিআরইউ অডিটোরিয়ামে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। এতে ব্রিফ পেপার উপস্থাপন করেন শিক্ষা ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের ফারহানা আক্তার। তথ্য-বেতার ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের এ এইচ এম জাহিদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কৃষি ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের মো. আরিফ হোসেন, পশুসম্পদ ক্যাডারের ২১ ব্যাচের আহসান হাবিব, গণপূর্ত ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের জামিলুর রহমান, শিক্ষা ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের ড. মোহাম্মদ মফিজুর রহমান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জনপ্রশাসনের উচ্চ স্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা থাকেন বিধায় বিভিন্ন সময়ে জনকল্যাণমুখী বিধির পরিবর্তে নিজেদের ইচ্ছে মত বিভিন্ন সময়ে চাকরি বিধিমালা তৈরি করে নিচ্ছে। সরকারের স্পর্শ কাতর সময়ে তারা একেকটা সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি, পদায়ন, সুযোগ সুবিধা রুদ্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য ক্যাডারে অসন্তোষ বিরাজ করছে। চাকরি ক্ষেত্রে কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সকল ক্যাডারে সাম্যতা এবং ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি সহ সকল বৈষম্য নিরসনের দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ক্যাডারের উচ্চ পদগুলোতে পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সকল ক্যাডারে প্রয়োজনীয় সুপার নিউমারি পদ তৈরির দাবি করেন। তারা বলেন, প্রফেসনাল মন্ত্রণালয়ে আনপ্রফেসনাল কর্মকর্তারা চাকরি করায় দেশ গঠনে স্ব স্ব পেশার দক্ষতা প্রয়োগে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপক্কতা এবং কিছু কিছু সময় বিপরীত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই তারা ক্যাডারভিত্তিক মন্ত্রণালয় দাবি করেন যেখানে স্ব স্ব ক্যাডার কর্মকর্তারা ওই মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করে রক্ত জড়িয়ে সফল হয়েছে । কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের পর পদোন্নতি সহ বিভিন্ন বৈষম্যের বিষয়ে হয়তো তারা অবগত নয়। চাকরিজীবীদের দায়িত্ব চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে যাতে নতুন প্রজন্ম চাকরিতে যোগদান করে একটা বৈষম্যহীন সাম্যাবস্থা পেতে পারেন।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে, প্রশাসন ক্যাডার উপসচিব পদে ৭৫ শতাংশ নিয়োগ পাচ্ছে আর ২৫টি ক্যাডার পাচ্ছে ২৫ শতাংশ নিয়োগ পান যা অযৌক্তিক। এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এ ধারা উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পর্যায়েও বিরাজমান রয়েছে। সভায় উল্লেখ করা হয় যে, উপসচিব কোন ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত পদ নয়। সুতরাং পরিপত্র জারি করে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ আইনসম্মত হতে পারে না। মেধাবী জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।