ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২০২৪:
গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটে, টঙ্গী ইজতেমার মাঠে অবস্থানরত তাবলীগ জামাতের সাথী এবং মাঠে অবস্থিত মাদ্রাসার কোমলমতি শিশু এবং শিক্ষকদের উপরে বিনা কারণে সাদপন্থী কর্তৃক বর্বররচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন যে, বিশ্ব ইস্তেমার টঙ্গীর মাঠ রক্ষনাবেক্ষন এর দায় দায়িত্ব বিগত বৎসরগুলোতে শুরাই নেজামের উপর পরিপূর্ণরূপে ন্যাস্ত ছিল। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় যে, গত ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজি রোজ মঙ্গলবার গভীর রাতে টঙ্গী এস্তেমার মাঠে আসন্ন বিশ্ব ইস্তেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতি ও মাঠের পাহারার দায়িত্বে নিযোজিত তাবলীগ জামাতের সাথী ও মাঠে অবস্থিত মাদ্রাসার কোমলমতি শিশু এবং তাদের শিক্ষকদের উপর বিনা কারণে সাদপন্থীরা বর্বররোচিত ও পৈশাচিক হামলা চালায়। রামদা, কিরিচ, ছুরি, লোহার রডের মত ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ও নামাজরত নিরীহ-নিরস্ত্র তাবলীগ জামাতের সাথীদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। ইতিহাসের এই বর্বররোচিত হামলায় শুরাই নেজামের তিন জন সাথী নিহত এবং শত শত সাথী মারাত্মকভাবে আহত হয়। সাদপন্থীরা এতটাই হিংস্র হয়ে উঠে যে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের উপর ও হামলা চালাতে দ্বিধাবোধ করেনি।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
সাদপন্থীরা একই কায়দায় গত ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরেও একতরফা আক্রমণ চালিযে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলীগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদেরকে রক্তাক্ত করে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থীরা তাবলীগী নয়। বরং তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থী বাহিনী। যারা গত ১৭ তারিখ দিবাগত রাত্রে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তাদের মূল হোতা সহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সঙ্গে আরো বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাত্রে টঙ্গির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অবস্থার দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসোর রা যোগসাজস করে সাদপন্থীদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীল নকশা করেছিলো। তাদের এ নীল নকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরাইলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে কিছু জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হযেছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা!
এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি:
১/বারবার আক্রমণকারী এই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২/১৭ ই ডিসেম্বর গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরের হামলার সাথে জড়িত সকল আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতারও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৩/কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠ সহ তাবলীগের সকল কার্যক্রম শুরাঈ নিজামের অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
পরিশেষে সাংবাদিক ভাইদের প্রতি একটি বিশেষ অনুরোধ!
১৭ ই ডিসেম্বর গভীর রাত্রে ঘুমন্ত ও নামাজ রত সাথীদের উপর সাদপন্থী কর্তৃক
এই জঘন্য হামলা কে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হিসেবে প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও শুরায়ী নিজামের সাথীবৃন্দ।