আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই রুটে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে দেরীতে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যাত্রা শুরু হলেও শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টায় সিলেটের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে হঠাৎ এ যাত্রা বিলম্বে বিপাকে পড়েছেন সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রীরা।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ডক ইয়ার্ডে ওয়াসপিটে একই লাইনে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি ঢুকে যাওয়ায় (সাইড কোয়ালিশনে) দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাহাড়িকার দু’টি কোচ লাইনচ্যুত হয়।
এরপর ৫ ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৪ টায় ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছাড়ে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। আর ৮ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এদিকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিলম্ব হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত বলেন, মূলত পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামে আসার পর উদয়নের নামে সিলেট উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু পাহাড়িকা ট্রেনটি ছাড়তে ৮ ঘণ্টা দেড়ি হওয়ায় উদয়নের আজকের (শুক্রবার) শিডিউল বাতিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেট থেকে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে। ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। অর্থাৎ সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে পাহাড়িকার ৯ ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
এদিকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু উদয়নের শিডিউল বাতিল হয়েছে তাই যাত্রীদের টিকিট ফেরত নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এদিকে দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা রেলওয়ে। কমিটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রকৌশলী ও যান্ত্রিক প্রকৌশলী।