ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়া প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ঠিক করেন।
এ মামলায় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে ডিবি। সোমবার (১২ অক্টোবর) তাদের দু’দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ডে যাওয়া দু’জন হলেন— বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওইদিনই অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ঠিক করেছিলেন।
এছাড়া ওই তরুণী লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আগে আরেকটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার ছয় আসামি হলেন— বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক (সাময়িক বহিষ্কৃত) হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহহিল বাকী (২৩)।
এ মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে। মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, মামলাটিতে দু’টি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালী থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।