সরকার করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে এবার এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করেছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে গড় ফলাফল করে সবাইকে পাস দিবে। গত কয়েক বৎসরের ফলাফলে দেখা গিয়েছে প্রায় ২৭-২৯ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করতে পারে না। এবার তারাও পাস করে যাবে। যদি পরীক্ষা নেয়া হতো এবার ফেলের সংখ্যা হয়তো আরো বাড়তো, যাক সে বির্তক….
যাদের মন খারাপ…
সারাজীবনের জন্য কপালে একটা অটো পাসের সিল পরে গেল। গাধা ঘোড়া এক সমান হয়ে গেল। সামনে চাকরিতে সমস্যা বা অবমূল্যায়ন হয় কিনা?
তাদের জন্য কথা হলো: এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে প্রমাণ করো যে, তুমি আসলেই অনন্য বা অনন্যা।
অটোপাস এটা তুমি চেয়ে নাও নি। চাকরিসহ সব জায়গায় প্রমাণ দিতে পারলে কে খবর রাখে তুমি অটোপাস? নিজে যদি হীনমন্যতায় ভোগ কে উদ্ধার করবে?
বর্তমান দুনিয়া প্রতিযোগিতার দুনিয়া, এখানে সংগ্রাম করে, লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। নিজে সে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হও।
আবার অনেকে বলেন হাট বাজার সব খোলা, এমন কি নির্বাচন করা যায়। পরীক্ষা নেয়া যায় না কেন?
হাট বাজার, অফিস আদালতের মানুষ ও তাদের বয়স ভিন্ন, আর নির্বাচন অনুষ্ঠান একদিনের কর্মযজ্ঞ। পরীক্ষা শেষ করতে কম করে হলেও ১৩ দিন (ব্যবহারিক বাদ দিয়ে) পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা যাওয়া করতে হবে। সেই সাথে অভিভাবক, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বেশ বড় একটা সংখ্যা।
আরেকটা কথা….
জেএসসি, এসএসসিতে রেজাল্ট ভালো হয় নি, তারা আশা করেছিল এইচএসসিতে ভালো করবে এবং পূর্বের ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে নিবে। তাদের জন্য কথা হলো ‘সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ।’
আর ম্যক্সিম্যাম শিক্ষার্থীকে বেনিফিট দিতে গিয়ে মিনিমাম শিক্ষার্থী হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিছু করার নেই।
এরপরও বির্তক থেকে যাবে –
কোন ভাবে কি পরীক্ষা নেয়া যেতো না?
বিশ্বের আর কোন দেশ কি পরীক্ষা বাতিল করেছে? জানা মতো কোন দেশ এখনো স্কুল কলেজ খুলে দেয় নি।
শেষ কথা
খুশিতে আটখানা হওয়ার কিছু নেই। ইতোমধ্যে একজন শিক্ষার্থী রীট করেছে, পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা চলছে। পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
-মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
অধ্যক্ষ, গুইমারা সরকারি কলেজ