মহামারি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার দ্বিতীয়বার বাড়ানো হয়েছে। চলতি মূলধনভিত্তিক প্রণোদনার আকার এবার ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করা হবে। এ জন্য দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখতে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে গত ৫ এপ্রিল ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ সুবিধা দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরবর্তীতে সচল রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের জুলাই মাসের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজটি ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ সুবিধা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজটি ৩৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, করোনার কারণে দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দেশে কার্যরত বিদেশি মালিকানাধীন এবং যৌথ মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, এ প্যাকেজের আওতায় বর্ধিত ৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ টাইপ শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য প্রযোজ্য হবে। ঋণের সুদের হার হবে ৯ শতাংশ, যার মধ্যে ৪.৫০ শতাংশ ভর্তুকি বাবদ প্রদান করবে সরকার।
আলোচ্য বর্ধিত সুবিধা থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে আগামী ৫ নভেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে সফট কপিসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।