১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ২০২৪:
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে( বিকেএসপি) কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তাদের এবং কোচদের বিরুদ্ধে অনিয়ম,
দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে গত ৩১-০৮-২০২৪ ইং তারিখ হইতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী বর্তমান প্রশিক্ষনার্থীদের অভিভাবকগন এবং সাবেক প্রশিক্ষনার্থীরা অত্র প্রতিষ্ঠানে ঘটমান বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন । নির্দিষ্ট কিছু প্রশিক্ষক এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষনার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন তথা
‘’ এ্যাথলেট রাইটস ‘’ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ।
উল্লেখ্য, অদৃষ্টপূর্ব কিছু অনিয়ম লক্ষ্যনীয় ফুটে উঠেছে
* বিকেএসপির কারাতে বিভাগের প্রশিক্ষক জনাব হোসেন খান মুন বিকেএসপির প্রশিক্ষক হওয়া সত্তেও নবম বাংলাদেশ গেমসে বাংলাদেশ আনসারের হয়ে অংশগ্রহন করেছে এবং সেই খেলায় তিনি তার বিকেএসপির ছাত্রকে পরাজিত করার মাধ্যমে স্বর্ন পদক লাভ করে । বিকেএসপির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রশিক্ষক বিকেএসপিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত অবস্থায় অন্য কোনো সরকারি সংস্থার সাথে সম্পৃক্ততা রাখতে পারবেন না । অথচ উনি এই সুক্ষ্ম চালাকি প্রায় ৮ বছর ধরে করে আসছে এবং উনি দুই সংস্থার বেতন একসঙ্গেই ভোগ করছেন । উনি খেলোয়াড় হিসেবে অগ্রগতি করতে চাইলে উনি বিকেএসপির দল থেকেই খেলতে পারতেন কিন্তু তা না করে উনি টাকার লোভে বাংলাদেশ আনসার দলের হয়ে খেলেছেন এবং বিকেএসপির স্বর্ন পদক অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ান । এছাড়াও আরো একজন প্রশিক্ষনার্থীর জীবন উনি নষ্ট করেছেন। প্রশিক্ষনার্থীর পায়ের এ সি এল ( A C L ) লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার পর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার ছুটি তিনি মন্জুর করেনি । অতঃপর প্রশিক্ষনার্থীটি অবকাশে আসার পর সার্জারী করা কালীন সময়ে তার অভিভাবকগন প্রশিক্ষককে ফোন দিয়ে বিকেএসপির ফান্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি সেই অভিভাবকগনকে বাজে ভাষায় কথা বলে ফোন রেখে দেয় । সব শেষে প্রশিক্ষনার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
* বর্তমান বিকেএসপির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কর্নেল মিজান সাহেব এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার একক পুঞ্জিভুতকরণ এবং অপব্যবহার পূর্বক যেসব অভিযোগ রয়েছে – ১৷ শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম,
২৷ বদলী বাণিজ্য,
৩। ভর্তি বাণিজ্য,
৪৷ ব্যক্তিগত স্বার্থ লাভের কারণে প্রতিষ্ঠানের অর্থ পদ্মা ব্যাংক এ লেনদেন,
৫৷ চীন এর কুনমিং বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিকেএসপি এর প্রশিক্ষণার্থী এর পরিবর্তে নিজের সন্তান কে প্রেরণ,
৬। ইন্সুরেন্স এর কথা বলে প্রশিক্ষনার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে নিজস্ব ফান্ডে রাখা ।
এসকল বিষয়ে তার বিশেষ সহযোগী এথল্যাটিক্স বিভাগের সিনিয়র কোচ জনাব মেহেদী।
* এ্যাথলেটিক্স বিভাগের সিনিয়র কোচ জনাব মেহেদী সাহেব । কর্নেল মিজান সাহেবের সকল অপকর্মের সহযোগী উনি । পদ্মা ব্যাংকের টাকা লেনদেন, বার্ষিক বাজেটের টাকা আত্মসাৎ, নৌবাহিনীর কাছে মাঠ ভাড়া বাবদ টাকা ব্যাক্তিগতভাবে আত্মসাৎ, এবং নারী কেল্কেংকারির অভিযোগ রয়েছে এই কোঁচের বিরুদ্ধে
* জিমন্যাস্টিক্স বিভাগের প্রশিক্ষক হমর্জিনা বেগমের বিরুদ্ধে রয়েছে ভিন্ন অভিযোগ। প্রশিক্ষনার্থীদেরকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার এর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এ বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রমান সহকারে সবকিছু উপস্থাপন করতে ইচ্ছুক সাবেক শিক্ষাথীরা।
* উপাধাক্ষ্য ড. শামীমুজ্জামান সাহেবের বিরুদ্ধে আনীমিত অভিযোগ সমূহ –
১ – * উপাধাক্ষ্য ড. শামীমুজ্জামান সাহেবের অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং পদত্যাগের দাবি তোলা সাবেক শিক্ষার্থী এবং তার বাবাকে হুমকি দেওয়া ।
২ – কলেজ ভবনে তার নিজস্ব কোরাম দ্বারা শিক্ষক রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে
আমাদের হাতে একটি ভিডিও এসেছে । সে ভিডিওতে তার বার্তাগুলো শুনলেই বোঝা যায় তার মন মানসিকতা কতটা নোংরা কুৎসিত বিকেএসপির কোনো নারী প্রশিক্ষনার্থী তার কাছে নিরাপদ নয় । এরকম নোংরা এবং নিচু মন মানসিকতার মানুষ বিকেএসপির মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথীরা দেখতে চায় না
* উপ-পরিচালক ( প্রশাসন ) জনাব সগির হোসেন গত ১৮-০৮-২০২১ ইং তারিখে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন । তিনি যাবতীয় আর্থিক সুবিধা বাবদ সাঁড়ে ২৮ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন । তবে ৯ মাস পরে উপ-পরিচালক ( প্রশাসন ) পদে তিনি বিকেএসপিতে ফিরেছেন । তার বিরুদ্ধে নারী ক্যালেঙ্কারী ঘটনাও উল্লেখযোগ্য । শিক্ষাথীদের কাছে উনার সিসি টিভির ফুটেজ রয়েছে এবং যমুনা টিভি তাকে নিয়ে কয়েকবার প্রতিবেদন করছেন তারপর ও কিভাবে চাকরিতে আছেন তিনি এরকম ব্যাক্তি যিনি পদত্যাগ করে অর্থ নিয়ে চলে গিয়েছেন এবং নারী ক্যালেঙ্কারী ঘটনাও রয়েছে সে কিভাবে উপ-পরিচালক ( প্রশাসন ) পদে বহাল রয়েছে শিক্ষাথীদের প্রশ্ন ।
* বিকেএসপিতে পরিচালক ( প্রশিক্ষণ ) পদে এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হোক যিনি খেলাধুলার বিষয়ে পারদর্শী, বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ হবেন। এখানে এমন কাউকে যাতে নিয়োগ দেওয়া হয় যিনি ব্যক্তিগতভাবে স্বেচ্ছাচারী হবেন না এবং খেলাধুলার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে পারবেন এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রশিক্ষনার্থীদের কাছে উক্ত অভিযোগসমূহ আমলে নিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি এবং উল্লিখিত ব্যাক্তিগনদের দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে বিকেসপির সাবেক খেলোয়ার ও শিক্ষাথীরা
অভিযোগের অনুলিপি _মাননীয় ক্রীড়া উপদেষ্টা জনাব : আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়ার কাছে জমা দিয়েছেন বিকেসপির সাবেক শিক্ষাথারা।