ফেনীতে অস্ত্র ও মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে নজরুল নামে এক ব্যবসায়ীর জমি, ফ্ল্যাটসহ ব্যাংকের টাকা অন্য ব্যক্তিকে নিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ছাগলনাইয়া থানার এসআই আলমগীর হোসেনকে ক্লোজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক নোটিশে এই ক্লোজ আদেশ দেওয়া হয়। ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ক্লোজ করা এসআইকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, জেলার ফুলগাজি উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতর ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, অস্ত্র ও মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল’সহ এলাকার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের এসআই আলমগীর তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তিনি তা দিতে না চাইলে ১৭ জুন পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে জমি, ফ্ল্যাটের, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এই ঘটনার পর দিন ১৮ জুন ভোরে তার নিকট আত্মীয় আরিফিন আজাদ বাদলকে নিয়ে ফের নজরুলের বাড়িতে তারা হানা দেয়। পরে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে আটকে রাখে । সেখান থেকে তাকে ছাগলনাইয়া থানায় কর্মরত এসআই আলমগীরে কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই জনপ্রতিনিধির কথা মতো এসআই আলমগীর’সহ কয়েকজন নজরুলকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে আসে। সেখানে নজরুলের নামে থাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাড়ে ৬ কাঠার জমিটি রেজিস্ট্রি করে নিয়ে যায়।
এ সময় নজরুলের ব্যবসায়ীক লাইসেন্স হস্তান্তরের অঙ্গীকারনামাসহ ৮-১০টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। পরে এসআই আলমগীরসহ জড়িতরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, ব্যবসায়ী নজরুলের অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে এস আই আলমগীর হোসেনকে ক্লোজ করা হয়েছে।