ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচারণের জন্য স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ১২ এর উপ-ধারা (১) এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নং সাধারণ-ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপণে জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়ে। তিনি বিদেশি মদ সেবন করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ১ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন।
তিনি অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, মাদক রাখার দায়ে আরও মামলা দায়ের করার কার্যাক্রম চলমান রয়েছে।
গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে সংসদ সদস্য স্টিকার যুক্ত সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করো হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সেদিন রাতে সারাধারণ ডায়েরি করা হলেও সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা। ওই দিন দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। একই সঙ্গে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ সেবন, অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।