অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অনুষদ ডিনরা। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে পূর্বনির্ধারিত ডিনদের নিয়ে মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হলে সেখানে তারা এ মতামত দেন।
উক্ত আলোচনায় প্রত্যেকটি অনুষদের ডিনরা অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার কথাও জানান তারা। ডিনরা মনে করছেন, এভাবে পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ঢাকা আসার প্রয়োজন নাও হতে পারে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মিটিংয়ে সব অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে না নেওয়ার পক্ষে যে মতামত দিয়েছেন সে বিষয়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব। ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সব ডিন এ মতামত দিয়েছেন। ডিসেম্বরের পরে এইচএসসির ফলাফল হলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনও ডিনই মতামত দেননি। তাই অনলাইনে পরীক্ষা না নিয়ে আমরা বরাবরের মতো ভর্তি পরীক্ষা নেব। আমরা এসএসসি এবং এইচএসসি’র ফলাফল দেখে কী পরিমাণ নেওয়া হবে, তা আরও মিটিং করে ঠিক করব।’
ড. সাদেকা হালিম জানান, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি ঠিক রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা হয়তোবা বিভাগভিত্তিক হিসেবে পরীক্ষা নেব। যেমন, যারা খুলনা থেকে আসতে চায়, সে বিভাগেই তাদের পরীক্ষা নেব। যাতে ঢাকায় আসতে না হয়।’
তিনি আরও জানান, ‘ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১০ করে ২০ নম্বর আর নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিতের ওপর ৮০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে প্রস্তাব করেছি।’