ঢাকা:১৮ ডিসেম্বর বুধবার ২০২৪:
এ কে এম এহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আহ্বান
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতা জাতির আর্থিক ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর প্রতি আস্থা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, বর্তমানে বিএফআইইউ-এর নির্বাহী পরিচালক এবং ডেপুটি হেড হিসেবে দায়িত্ব পালনরত এ কে এম এহসানের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগ গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এই অভিযোগগুলো তার আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ক্ষমতার সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাই, এই অভিযোগগুলো দ্রুত সমাধান করার, প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার এবং জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
ভুল উপস্থাপনার একটি ঘটনা
এহসানের বিরুদ্ধে অন্যতম গুরুতর অভিযোগ হলো জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় তার ভূমিকা। প্রমাণ থেকে জানা যায়, তিনি মামলার কেন্দ্রীয় আর্থিক লেনদেনগুলোর সঠিক উপস্থাপনা দিতে ব্যর্থ হন। বিশেষ করে, ট্রাস্টের নামে একই দিনে ২ কোটি টাকা উত্তোলন করে ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট (এফডিআর) আকারে পুনরায় জমা দেওয়া হয়েছিল, যা তার প্রতিবেদনে অপব্যবহারের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সমালোচকরা বলছেন, এই চরিত্রায়নটি কেবল ভুলই নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ বাদ দেওয়া তার কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় এর প্রভাব সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। এমন ধরনের ভুল উপস্থাপনা কেবল ভুল সিদ্ধান্তই নয়, এটি নৈতিক মান লঙ্ঘনের উদাহরণ যা প্রতিষ্ঠানের ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ মূল্যায়ন প্রদান করার দায়িত্বকে ব্যর্থ করে তোলে।
রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার
এছাড়াও, এহসানের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষতিকর এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তৈরিতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। এই অভিযোগগুলো কম প্রচলিত সংবাদপত্র, যেমন নয়া দিগন্ত এবং কালবেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়া কেবল ব্যক্তিদের সুনামহানি করে না, বরং বিএফআইইউ-এর বিশ্বাসযোগ্যতার উপরেও ছায়া ফেলে। যদি এই অভিযোগগুলো সত্য হয়, তবে এটি ক্ষমতার গুরুতর অপব্যবহারের উদাহরণ, যা একটি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করে।